নড়াইলে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাংচুরের অভিযোগ,জুলফিকার আলি
মো:রফিকুল ইসলাম | নড়াইল
নড়াইল পৌরসভা নির্বাচনে এবার বিএনপি প্রার্থী জুলফিকার আলী মন্ডলের দূর্গাপুর ধানের শীষের প্রধান অফিস ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
জুলফিকার আলি মন্ডল অভিযোগ করে জানান,
(২৬জানুয়ারি) মঙ্গলবার সন্ধার পর পর সময়ে শহরের মহিলা কলেজের পাশে গোচর বটতলা নামক স্থানে আমার ধানের শীষের প্রধান কার্যালয়ের সামনে দিয়ে নৌকা সমর্থকের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা যাচ্ছিলো।
সেই সময় আমার অফিসে কেউ না থাকায় আমার ধানের শীষের অফিসের চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
অফিস ভাংচুরের আগে আমরা অফিসে বসে সবাই মিলে চা খেয়ে দূর্গাপুরের দিকে যায়,সেই সময় আমার অফিসে কেউ না থাকায় আমার অফিস ভাংচুর করে নৌকার কর্মিরা।
এদিকে আমার এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে যেন নির্বাচনের দিন তারা ভোট কেন্দ্রে না যায়,যদি যায় তাহলে হাত-পা ভেঙ্গে দিবে,এজন্য আমি সহ আমার কর্মিগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ কেমন নির্বাচন,একেমন হুমকি ধামকি,এভাবে কি নির্বাচন করা সম্ভব।
আমার অফিস ভাংচুরের বিষয়ে আমি নড়াইল জেলার প্রশাষনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সকলকেই জানিয়েছি কিন্তু কোন সুরাহা পাইনি।
জুলফিকার আলি মন্ডল আরো জানান,এখনো পর্যন্ত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকতা বা প্রতিনিধি ও প্রশাষনের কেউ এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেইনি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেননি।
আমি নড়াইল জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাষনের সুদৃষ্ট আশা করছি,নড়াইল পৌরসভা নির্বাচন যেন ভোটারদের ভোটের মাদ্ধমেই সম্পর্ন হয়
এদিকে,নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক-লীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম (উজ্জল) এ প্রতিবেদক কে জানান,বিএনপি প্রার্থী জুলফিকার আলি মন্ডল ৩-৪ দিন ধরে তার কর্মিদের কোন নির্বাচনি খরচ দেননি এজন্যই ক্ষুব্দ হয়ে তার বিএনপির কর্মিরাই তার অফিস ভাংচুর করেছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।